Logo
Logo
×

প্রযুক্তি

জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা ও পদ্ধতি

Icon

আইটি ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ০০:২৪

জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা ও পদ্ধতি

প্রথম সন্তান আলিফের জন্মের বছর খানেক পর শামীম ও রোজিনা দম্পতি পেশাজীবী ভিসায় কানাডায় যাওয়ার উদ্যোগ নেন। একদিন তার এক সহকর্মীর কাছে জানতে পারলেন, পাসপোর্টের আবেদন সকরার আগে জন্ম সনদ অনলাইনে যাচাই করা জরুরি। কারণ সনদ যদি অনলাইনে ভেরিফাই না হয়, তবে আবেদন আটকে যেতে পারে। তাছাড়া জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্টের আবেদনের তথ্যে গরমিল বা নামের বানানে গরমিল থাকলেও ঝামেলা হয়। তাই আগে থেকেই জন্ম নিবন্ধনের তথ্যও যাচাই করা উচিত। ভুল থাকলে সংশোধন করে তারপর পাসপোর্টের আবেদন করা উচিত। বর্তমানে সরকারি এবং বেসরকারি কাজের জন্য জন্মসনদ সরাসরি জাতীয় ডেটাবেইস থেকে সহজেই যাচাই করা যায়। যদি সনদ যাচাই করা না যায়, তাহলে পুরোনো সনদ জমা দিয়ে নতুন ডিজিটাল সনদ নিতে হবে।

শামীম প্রথমে যান everify.bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে। সেখানে দুটি তথ্য দেন

১. ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর

২. জন্মতারিখ (YYYY-MM-DD ফরম্যাটে)

এরপর ক্যাপচা পূরণ করে 'Search' ক্লিক করলেন। তথ্য সঠিক হওয়ায় শামীম দেখতে পারলেন জন্ম নিবন্ধনে দেওয়া তথ্যগুলো যেমন নাম, জন্মতারিখ, নিবন্ধন অফিস এবং রেজিস্ট্রেশনের তারিখ। সব তথ্য ডেটাবেইসে সঠিকভাবে রয়েছে। 

যারা ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ নন, তারা স্থানীয় ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে এই সেবা নিতে পারেন অথবা ৩৩৩ নম্বরে কল করলেই সহায়তা পাবেন।

এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১০০-রও বেশি সরকারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন আউটলেট। চলমান ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে। সেখানেও পাওয়া যাবে উল্লিখিত সেবাটি। 

‘নাগরিক সেবা’ হবে একটি সিঙ্গেল সার্ভিস পোর্টাল ও সুপার অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালিত, যেখানে আবেদন জমা, ট্র্যাকিং এবং প্রসেসিং হবে এক প্ল্যাটফর্মে। নাগরিকরা আর সরকারি অফিসে না গিয়েও নিজেদের এলাকার সেবা কেন্দ্র বা এজেন্টের মাধ্যমে সহজেই সেবা পাবেন।

Logo

অনুসরণ করুন