
নিক্কেই এশিয়ার একটি প্রশ্নের উত্তর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি যে উত্তর দিয়েছেন, তা ওই প্রশ্নের উত্তর ছিল না।
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সম্প্রতি তার পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ নিয়ে। তিনি পদত্যাগ করতে পারেন এমন আলোচনায় বাংলাদেশ এবং বিশ্বে কৌতুহল সৃষ্টি হয়। ড. ইউনূস কী বার্তা দিয়েছিলেন? - নিক্কি এশিয়ার এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিইনি। যেহেতু বাংলাদেশে উত্তর দিইনি, তাই যদি জাপানে এসে উত্তর দিই তাতে আমার জন্য অনেক বেশি ঝামেলা তৈরি হবে।
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অধিক পরিমাণ সুতা, তেল ও গ্যাস কেনার প্রস্তাবের কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ওপর শতকরা ৩৭ ভাগ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে। সেখান থেকে সুতা, তেল ও গ্যাস কেনার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন ড. ইউনূস। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার প্রস্তাবও ব্যবহার করবেন বলে জানান।
বৃহস্পতিবার ফিউচার অব এশিয়া কনফারেন্সের এক ফাঁকে তার সাক্ষাৎকার নেয় পত্রিকাটি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিটি অংশীদার দেশের সঙ্গে তার দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। এ কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রের অধিক পণ্য কেনার প্রস্তাত গৃহীত হয় তাহলে অন্য দেশগুলো থেকে একই রকম পণ্য আমদানির পথ পরিবর্তন করতে পারে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, উদাহরণ হিসেবে আমরা মধ্য এশিয়া থেকে, ভারতের কাছ থেকে এবং অন্য আরও দেশের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে সুতা কিনি। আমরা দেখছি, আমরা কেন এটা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কিনি না। তাদের কাছ থেকে কিনলে তো বাণিজ্য ঘাটতি কমে যাবে।