Logo
Logo
×

সারাদেশ

দাফনের আগে জানা গেল সাবু আহমদ জীবিত

Icon

ইউএনবি

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১৫:৫৫

দাফনের আগে জানা গেল সাবু আহমদ জীবিত

সিলেটে এক ব্যক্তিকে দাফনের আগমুহূর্তে জানা গেছে যে তিনি জীবিত; হাসপাতাল থেকে যে লাশ নিয়ে আসা হয়েছে সেটি তার নয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর সুলতানপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম (এতিছানগর) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। যে ব্যক্তির দাফন নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে তার নাম সাবু আহমদ। তিনি জকিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২১ জুন) রাতে ফেসবুকে ছবি দেখে সাবুর ছোট ভাই বাবুল আহমদ জানতে পারেন, তার ভাইয়ের লাশ জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। এরপর ভাইয়ের লাশ মনে করে অজ্ঞাতনামা ওই লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন বাবুল। এরপর তিনি লাশের দাফন ও কবর খোড়ার ঠিক আগমুহূর্তে জানতে পারেন সাবু জীবিত আছেন।

বাবুল বলেন, আমার বড় ভাই সাবু একজন মানসিক রোগী। গত এক সপ্তাহ ধরে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতে (শনিবার) ফেসবুকে ছবি দেখে মনে হয়েছিল সে মারা গেছে। তাই আমরা হাসপাতালে গিয়ে লাশটি নিয়ে এসে দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।

তিনি বলেন, তবে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে আমাদের এক পরিচিতজন জানান, আমার ভাই বেঁচে আছেন এবং স্থানীয় গঙ্গাজল বাজারে আছেন।

তিনি আরও জানান, ভাই জীবিত আছেন জানতে পেরে তিনি হাসপাতালে ওই লাশটি ফেরত দিতে চান। তবে জকিগঞ্জ জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের নেতা মিজানুর রহমানের অনুরোধে সেটি দাফনের জন্য নিয়ে আসেন।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘একজন অজ্ঞাত-পরিচয়ের লোক চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাড়িতে নিয়ে লাশের দাফন-কাফন ও কবর খোঁড়ার ঠিক আগমুহূর্তে মৃত সাবু আহমদ জীবিত আছেন বলে আমরা শুনেছি।

এদিকে, জানাজার ইমাম মাওলানা জালাল উদ্দিন বলেন, রবিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় এতিছানগর জামে মসজিদে জানাজা শেষে বাবুর বাজার-সংলগ্ন কবরস্থানে লাশটি দাফন করা হয়েছে। আমি থানার ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলে মানবিক দিক বিবেচনা করে লাশের জানাজা পড়াই এবং দাফনের জন্য বলি।’

এ বিষয়ে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ মো. আব্দুল আহাদ বলেন, ‘অজ্ঞাত পরিচয়ে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করার পর আমরা নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় লাশ সিলেটে পাঠানোর উদ্যোগ নেই। ঠিক তখনই তার ভাই ও আত্মীয়স্বজন পরিচয়ে লোকজন এসে লাশটি নিয়ে যান। এখন শুনছি ওই ব্যক্তি নাকি তাদের কেউ নন।’

Logo

অনুসরণ করুন